সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

প্রেমের কবিতা




নিশ্বাস বিশ্বাস
মাহমুদুল হাসান নিজামী
----------------------------------
নিশ্বাস বিশ্বাস যায় যদি হারিয়ে
যত কর চেষ্টা পাবেনাতো ফিরিয়ে
বিশ্বাস মহা ধন সততাই পুজি
জীবনের সঞ্চয় কর্মতে খুজি
বিশ্বাসী মানুষে সবে করে বিশ্বাস
গুরুভার পায় সে অাস্থার পরিহাস
নিশ্বাস নাহি যার ভীতিকর লাশ সে
যত তাড়া পুতে ফেলা মাটিরি বাক্সে





সামনে যেতে হবে পথ
আরো কিছুটা
একেবারে দেখা যাবেনা
কোনভাবে পি্ছুটা
দিগন্ত যেথা মিশেছে হয়তো
যেতে পারবো না তথা
সম্মুখ ছাড়া পিছনে যাবনা
কথা দাও পথিক যথা
ইচ্ছা প্রাপ্তির মাঝে থাকে
সম্মুখে ঢের পাহাড়
গন্তব্য নাহি সম্মুখ ছাড়া
তবু যে কোন আর







কবিরা উদাসীন স্রোতের মত

 গতিহীন উদভ্রান্ত
গতিহীন জলাধার হারায় নদী  
পরিচয় হয়ে যায় নামহীন জলধি
  নদীর মত ভ্রান্ত বলেই কুল ভেংগে
কুল গড়ে তুলে কবিরা
 কবির সুন্দরের উপমা হয়ে যায়
 উদাসী সব ছবিরা
 নদী আর কবি একান্ত পরস্পর
 জন্মটা সামন্তরালে সম উদর
 কবি মানে ভুলে ভরা সুন্দরের অভিধান
 কবিতা মানে সমুদয় পরাজয়ের সুরলা গান

আকাশ
মাহমুদুল হাসান নিজামী

হৃদয় আকাশ আর উপরের_---
  আকাশে কত দুর ব্যবধান-?  
সব ব্যবধান হয় অনেক দুরের
কিন্ত নদী সমুদ্রের দুরত্ব পরিমান  
মাপতে মাপতে কবিতা ওয়ালা ক্লান্ত
 ছোয়া যেত যদি আকাশ দিগন্ত
 প্রত্যাশায় এসে যেত প্রিয়ার হাত
জোসনায় ভেসে যেত প্রতি রাত
  ভাবনার কল্পিত প্রহর হতো শেষ  
অনুপম সুন্দরে হাসিতো প্রতিবেশ


রাত
মাহমুদুল হাসান নিজামী
রাত যবে গহীন তবে শূন্যতার দাহন
দুর বাতায়নে ডাকে বিরহী সমীরন
  আধারে নীলিমা কাদে তিমির ভুবন
  তুষিত হৃদয় কোথায় আজি অাপন  
স্বপনে খুজি তারে ভুবনে সে নাই  
এমন নাট শালা কেন বানালে সাই
 আরো গহীন যখন রাত  
হৃদয়ে খামছি মারে কালো হাত


রক্ত
মাহমুদুল হাসান নিজামী

বায়ান্নতে রক্ত দিলাম
 একাত্তরে রক্ত রক্ত 
 আমার আজো ঝরে
  অভাগাদের বখ্ত
 রক্ত দিলাম সাতান্নতে
 আঠারো শো সাল  
খুন ঘুম অবিচারে
 তবু মোদের হাল  
কবে সবে স্বাধীন হবো
  পাবো অধিকার  
বাংলার তরে রক্ত দিয়ে
 ইংরজী গুনি আবার
 কেমন আজব বাঙ্গালীরে
 কেমন আজব হায়
 হুজুগেতে চলি কভু
 বিবেকের পথ হারাই

দাবী
মাহমুদুল হাসান নিজামী

কত দাবী যত চাওয়া  
কত ছিল অাবদার
সবি ছিল বাবার কাছে  
এখনতো নেই বাবা আর  
বাবার স্মৃতি কাদায় আমায়
 ব্যগ ভরতি প্রিয় ফল
 সে সব কথা মনে হল
  বয়ে যায় অশ্রু জল
 যা চেয়েছি তা পেয়েছি
  শুধু বাবার কাছে
 এমন আপন বাবা ছাড়া  
আর কি কেহ আছে
 দুখের নদী বুকের দুকূল
  কুড়ে কুড়ে খায়
 সবি আছে প্রিয়তম
  বাবা শুধু নাই


হাত
মাহমুদুল হাসান নিজামী
 ছুয়ে দাও তব হাত
  কেটে যাবে রাত আসিবে প্রভাত 
 কোমল হাতে প্রনয় থাকে  
শক্ত হাতে অধিকার
  বজ্র হাতে বাচার শপথ 
নগ্ন হাতে ব্যভিচার 
 তব কায়ায় হাত দিয়েছি 
 প্রনয় ছায়া মায়া ধার 
একটি হাতে জীবন পাওয়া
  অন্য হাতে ছারখার







একদা নিতম্ব
মাহমুদুল হাসান নিজামী

একদা রমনীয় নিতম্ব কল্পেলোক দর্শনে
প্রনয় শিহরনে দুলিত হতো সমগ্র দেহ
এখন নগ্ন নিতম্ব টাইট অাষাকে স্বয়ং দর্শনেও
বালিশ বালিশ মনে হয় সমগ্র আগ্রহ আবগাহ
পুষ্প সুন্দর পল্লব পরিবেষ্টনে
রমনীরা শালীন অাবরনে






শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

প্রেমের কবিতা


প্রেমের কবিতা

কেউ
মাহমুদুল হাসান নিজামী
কেউ ভুলো যাবে অার কেউ
ভুলিয়ে দেবে এমনতো কথা ছিলোনা
কেউ হারবে অার কেউ
হারিয়ে দেবে তাতো ও হয়না
সমতা রেখা সামন্তরালে
মানব রেখা স্বাথ ফুরালে
মুছে যায় সব দ্রাগিমা
তবে হাসতো ও না প্রিয়তমা


আজরাইল
মাহমুদুল হাসান নিজামী
আজরাইল নিঠুর ওরে
ছোয়া দেয়নি বিবেক তোরে?
হুকুম তামিল করতে এসে
জানটা নেস হেসে হেসে
ছোট্ট দুটি শিশুর মুখে
হয়নিরে তোর মায়া?
হুকুৃম দাতা নিঠুর বলে
তোরও কিরে নাইরে দয়া?
হুকুম দাতার কি যে খেলা
অবোধ শিশুর অবলীলা
সৃষ্টি জগত নামে
সুখ সাগরে দুখের তরী
ভাসায় ধরাধামে



বুকের নদী
মাহমুদুল হাসান নিজামী
কাপছে মম বুকের নদী
ডিঙ্গি নাও এর মত
কোন অধরা ভয়ের দানব
করছে তাড়া অবিরত
বুকের ভেতর দুখের নদী
ভাংছে দু কুল নিরবধি
যদি কিছু হয়
বুকের পাশে ভয়
ভয় যে কখন বলতে পারো?
বয়স যখন সেই অাঠারো
রঙ মাখানো সেই সোহাগে
ভয়ের শিহরন
সেই স্মৃতিটা অাজো অামার
প্রনয় অনুরন



পাপ
মাহমুদুল হাসান নিজামী

বুকের ভেতর ভয় কেন
হৃদয় কেন কাপে
অধরা কে তাড়া করে
কোন সে অনুতাপে
বুকের ভিতর নড়ছে নদী
কোন সে পাপের ঢেউ
ভাংছে অামার বুকের সীমা
দেখছে নাতো কেউ
একলা অামি ভবের পথিক
একাই পথে চলা
ভবের মাঝে কেউ কারো নয়
স্রস্টা শিশুর খেলা