
মরীচিকা
মাহমুদুল হাসান নিজামী
মরীচিকার উৎসবে
একদিন থাকিবো না কেহ ভুলিয়া যাই সবে
দাদা নাই বাবা নাই মা ও যে আজি নাই নাই
আমিও একদিন থাকিবোনারে ভুলিয়া যাই
স্মৃতির মিনারা কাদিবে
বিরহের বিষাদে
যদি সেই স্মৃতি হয় অশেষ প্রীতিময়
যখনো থাকিবে না ডাকিবে তোমে অনন্তময়
মরীচকার ভুলে
উল্টো রথে পথিক আজো চলিছো চলিলে
ফুল
মাহমুদুল হাসান নিজামী
ভুলেও ছুয়োনাকো ৰৃক্ষের ফুল
দেখে দেখে সুখেতে থেকো মশগুল
দেখে যত সুখ পাৰে
ছুয়ে দিলে তাও যাৰে
কোমলী কায়াতে তৰ হাত ছোয়াতে
হতে পারে সোহাগী মায়াটা খোয়াতে
ফুলটার কায়াতে পড়ে যদি কোন হাত
অমনিতে হয়ে যায় সোহাগী কুপোকাত
ফুল মানে পুষ্প প্রিয়তম অনুভব
রংতুলি জলসায় নতুনের উৎসব
প্রভাতি ফুল মাহমুদুল হাসান নিজামী
প্রভাতি ফুল কোমল হাসি সেই প্রভাতে
কে তুমি সাজিয়েছো পৃথিৰীর ফুলদানীতে
প্রিয়তমার কবরীতে সুন্দরের আচড়
বর্নিল সোহাগে কৰির তনু ঘর
যদি ৰা হাসতে পারো কোন মন
হেথায় এসোএকান্ত সুখ ৰাসরে প্রতিক্ষন
আধার গগনে
খর তপনে
এক ফোটা মেঘ প্রশান্ত ছায়ায় এসো
প্রভাতী ফুল হয়ে কোমল চিমটি হাসো
সৃষ্টি
মাহমুদুল হাসান নিজামী
সৃষ্টির ক্যানভাসে প্রকৃতির তুলি
কে তিনি সাজালেন আলপনা গুলি
জল রঙ আকাশে কালা কালো মেঘ
ঘন কালো তিমিরে জাগে উদবেগ
জমিনের কায়াতে সবুজের শাড়ী
সুন্দরী পৃথিৰী দৃষ্টি নেয় কাড়ি
হলুদ আর নীলেতে মিলে হয় সবুজ
সৃষ্টিতে কতো লীলা বুজেনাতো অবুঝ
.
শিউলী মাহমুদুল হাসান নিজামী
শরত মুকুট শিঊলী ফুটুক
শরত আসার আগেই
নৰ হিল্লোলে হৃদয় জাগুক
নৰ ছন্দের রাগেই
প্রানে জাগুক নতুন জোয়ার
হরষে মাতুক ভাৰের ফোয়ার
রঙিন অনুরাগে
সৃষ্টি সুখে দৃ্ষ্টি হাসুক
রংধনুতে ৰৃষ্টি নামুক
ইষ্টিপুরের ৰাগে
হৃদয় পুরে রঙ্গের ছোয়ায় ছড়াক অনুরাগ
যাহার খুশী তাহার মত গহীনলোকে ভাসাক
শেষ
মাহমুদুল হাসান নিজামী
সকল কিছুর শেষ আছে সময় ও হয় শেষ
কেহ কেহ সৰ হারিয়ে হয়ে যায়রে দরৰেশ
আফসোসে সময় টা তার হতে চায়না পার
একটু খানি মমতাটা যদি পায়রে ধার
হায়রে জীৰন অলিক ভুৰন
সৰি যেন অলিক
রঙ্গ লীলা জীৰন খেলায়
সৰি যেন ফিক
ক্ষনিক জীৰন কত চাওয়া ছলনাই সৰ
জীৰন মানে মুখোশ আকা মিথ্যা অবয়ব
দীঘল রাতের ক্লান্তি
মাহমুদুল হাসান নিজামী
দীঘল রাতের ক্লান্তি এখন
প্রভাত হবে কবে
মুক্ত ৰিহগ কৰে গাহিৰে
আপন গৌরৰে
শ্রান্ত রজনী কাদে স্বজনী
তিমির অন্ধকার
কালিমা ঘেরা তিমির গগনে
জোসনা ভাসাক জোয়ার
ঈদে মায়ের স্মৃতি
মাহমুদুল হাসান নিজামী
সেদিন ছিল দুই হাজার সাল
ঈদের সকাল ৰেলায়
সুজি সেমাই এনে দিলেন
আম্মা কাচের থালায়
আম্মাজানের হাতের ছোয়া
সেই মজাদার সুজি
ৰছর ৰছর ঈদের দিনে
আমি আজো খুজি
মায়ের হাতের প্রিয় খাবার
জুটলো নারে ভাগ্যে যে আর
দুই হাজারের ৰারো সালে
মা যে গেলেন পরপার
মায়ের স্মৃতি মায়ের প্রীতি
সেই দুই হাজার সালে
ভাগ্য দোষে তার পরেতে
জুটলো না এই .ভালে
মায়ের সুজি আজো খুজি
প্রতি ঈদের দিন
আম্মা এখন জান্নাতেরী
হলেন গুলতেকিন
জীবন
মাহমুদুল হাসান নিজামী
চালিশ বছর ফেলে এলাম
চল্লিশ বসন্ত
আজো আমার মানুষ চেনায়
ভুল যে অনন্ত
সরলতায় ছলনাকার যত
সুযোগ খুজে পায়
জীৰন তৰে ত্রাহি ত্রাহি
প্রতারকের যাতনায়
